২৪খবরবিডি: 'আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কফিনে শেষ পেরেক মেরেছিল। এখন আবার বেহায়ার মতো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে। আবার সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়।'
'শনিবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ন্যাড়া বেল তলায় একবারই যায়। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলার মাটিতে জিন্দেগিতে প্রতিষ্ঠিত হবে না। প্রশ্নই আসে না। যত আন্দোলন করেন, যতই লাফালাফি করেন ওই অবস্থায় বাংলাদেশ ফিরে যাবে না। কামরুল ইসলাম বলেন, তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ছিল। মাইনাস থিওরিতে আমার নেত্রীকে জেলে নিয়েছিল, তোমার নেত্রীকে জেলে নিয়েছিল। আজকে খালেদা জিয়া যেই মামলায় জেলে, সেটা মামলা তখনকার তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়েছিল। তাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন করেছিল, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন হয়েছিল, সেই কথা কি আমরা ভুলে গেছি। তারেক রহমানকে যেভাবে পিটিয়েছে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে দিয়েছিল তখন আর্মিরা। হেঁটে যেতে পারেনি, দেশ ছাড়তে হুইল চেয়ারে করে এয়ারপোর্ট যেতে হয়েছিল। এই স্মৃতি কি তাদের মনে পড়ে না?সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছে।'
'সেটাকে পুঁজি করেই তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। নির্বাচনের আরও এক বছর আছে। এর আগেই তারা ক্ষমতা দখলের জন্য, উল্টো পথে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছে। তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাস রক্তে ভেজা মাস, সেই মাসে তারা সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চায়। আমানউল্লাহ আমানের মতো
'বেহায়ার মতো বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে'
নেতা বক্তব্য দেয়, ১০ তারিখের পরে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকবে না। স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে তারা ঘোষণা দেয়। বিজয়ের মাসে বিএনপিকে সারা দেশের কোথাও নামতে দেওয়া হবে না। মাসব্যাপী আমাদের কর্মসূচি থাকবে। সকালে একটা, বিকেলে আরেকটা। এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।'